মীলাদুন্নবীতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির নিকট মেয়ে বিয়ে দেয়ার বিধান

Posted Posted by আরিফ in Comments 0 comments

শাখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
অনুবাদ : সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
﴿ حكم زواج المرأة بمن يحضر الموالد وعنده بعض البدع ﴾
« باللغة البنغالية  »
الشيخ محمد صالح المنجد
ترجمة: ثناء الله نذير أحمد
مراجعة: د. أبو بكر محمد زكريا
প্রশ্ন :
আমার একটি কঠিন প্রশ্ন, আমার শ্যালিকা ইদানীং বিয়ে করবে, কিন্তু সম্ভাব্য বরের প্রকৃতি সম্পর্কে সে শঙ্কিত। আমি স্পষ্ট করেই বলছি, সে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে : মীলাদকে কঠিনভাবে সমর্থনকারী অথবা মীলাদুন্নবীর মাহফিল আয়োজনকারী ব্যক্তির সাথে বিয়ে কি বৈধ ? আমি জানি যে, ইসলামে এ কাজটি বিদ‘আত। কিন্তু আমার সন্দেহ, মীলাদুন্নবী উদযাপনকারী ব্যক্তির সাথে একজন মুসলিম নারীর বিয়ে কিভাবে হতে পারে ! কারণ যেসব শহরে এ মীলাদ পালন করা হয়, তারা এটাকে ইবাদাতের ন্যায়ই পালন করে। এখানে লোকদের আহ্বান করা হয়, কতক হাদিস পড়ে শোনানো হয়, গান-বাজনা হয় এবং প্রার্থনা করা হয়। লোকেরা মূলত দেখে ও গান গায় ! আমার প্রশ্ন হচ্ছে এসব কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তির সাথে মুসলিম নারীর বিয়ে কি বৈধ ? এর চেয়েও কঠিন প্রশ্ন- আমি যা প্রকাশ করতেও সঙ্কোচ বোধ করছি এ বিদ‘আতি কি মুসলিম হিসেবে গণ্য হবে ?


উত্তর :
আল-হামদুলিল্লাহ
ঈদে মীলাদুন্নবী বা এ জাতীয় বিদআতি কাজ যারা করে, তাদের আমল ও কর্মকাণ্ডের ভিন্নতার ন্যায় তাদের হুকুমও ভিন্ন, যদিও মীলাদুন্নবী বিদআত। এ ধরণের মীলাদ আয়োজকদের পাপের ধরণ ও ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে এরা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। কখনো এদের বিষয়গুলো শিরক পর্যন্ত পৌঁছে এবং তাদেরকে দ্বীন থেকে বের করে দেয়, যদি এসব উৎসবে নির্দিষ্ট কোন কুফরি করা হয়, যেমন আল্লাহ ব্যতীত কারো নিকট প্রার্থনা করা, অথবা আল্লাহর রুবুবিয়াতের সিফাত দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিশেষিত করা, অথবা এরূপ কোন শিরকে লিপ্ত হওয়া। আর যদি বিষয়গুলো এ পর্যায়ে না পৌঁছে, তাহলে এরা ফাসেক, কাফের নয়। আবার এদের ফাসেকির স্তর বিদআত ও ইসলামি বিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে পৃথক ও আলাদা।

আর এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির অবস্থার ভিন্নতা হিসেবে তার হুকুমও ভিন্ন হবে। যদি কুফরিতে লিপ্ত হয়, তাহলে কোন অবস্থাতেই তার সাথে বিয়ে বৈধ হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন :
وَلا تُنْكِحُوا الْمُشْرِكِينَ حَتَّى يُؤْمِنُوا وَلَعَبْدٌ مُؤْمِنٌ خَيْرٌ مِنْ مُشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ
"আর মুশরিক পুরুষদের সাথে বিয়ে দিয়ো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। আর একজন মুমিন দাস একজন মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে।" [সূরা বাকারা : ২২১] এমতাবস্থায় তার সাথে বিয়ের আক্দও সম্পন্ন হবে না। এ ব্যাপারে আলেমগণ একমত।
আর যদি বিদআতির বিদআত কুফরি পর্যন্ত না পৌঁছে, তবুও আলেমগণ বিদআতিদের সাথে বিবাহের সম্পর্ক কায়েম করা থেকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন।


ইমাম মালেক -রাহিমাহুল্লাহ- বলেছেন : "বিদআতিদের নিকট মেয়ে বিয়ে দেয়া যাবে না, আর না তাদের মেয়ে বিয়ে করা যাবে, তাদের উপর সালামও দেয়া যাবে।" "আল-মুদাওয়ানাহ" : (১/৮৪) অনুরূপ কথা ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলও বলেছেন।
চার ইমামগণ -রাহিমাহুমুল্লাহ- বলেছেন, বিবাহের ক্ষেত্রে দ্বীনি বিষয়ে কুফু তথা সমতা থাকা জরুরী। কোন ফাসেক পুরুষ একজন সঠিক দ্বীনদার নারীর কুফু ও সমান হতে পারে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
أَفَمَنْ كَانَ مُؤْمِناً كَمَنْ كَانَ فَاسِقاً لا يَسْتَوُونَ
"যে ব্যক্তি মুমিন সে কি ফাসিক ব্যক্তির মত ? তারা সমান নয়।" [সূরা আস-সাজদাহ : ১৮[
এতে সন্দেহ নেই যে, দ্বীনের মধ্যে বিদআত কঠিন ফিসক। দ্বীনের ব্যাপারে কুফু ও বরাবরির অর্থ : আক্দ পরিপূর্ণ হওয়ার পর যদি নারীর নিকট অথবা তার অভিভাবকের নিকট প্রকাশ পায় যে, ছেলে ফাসিক, তাহলে তারা বিয়ে ভঙ্গের দাবি জানাতে পারবে। হ্যাঁ, তারা যদি দাবি ত্যাগ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে, তাহলে বিয়ে শুদ্ধ।
তাই এ জাতি বিয়ে থেকে সতর্ক থাকাই শ্রেয়, বিশেষ করে কর্তৃত্ব যেহেতু পুরুষের হাতে অনেক সময় সে স্ত্রীকে কোণঠাসা করে বিদ‘আতে লিপ্ত হতে বাধ্য করতে পারে, অথবা কতক বিষয়ে সুন্নতের খেলাফ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে পারে। আর সন্তানদের বিষয়টি আরও ভয়ানক, খুব সম্ভব সে তাদেরকে বিদ‘আতের দীক্ষার উপর অনুশীলন করাবে, ফলে আহলে সুন্নতের বিরোধী হয়ে তারা বেড়ে উঠবে। আর এতেই বিপত্তি সঠিক অনুসারীদের জন্য, যারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অনুসরণ করে
মোদ্দাকথা : কোন মুসলিম পুরুষের মেয়েকে বিদ‘আতিদের নিকট বিয়ে দেয়া মাকরুহে তাহরিমী। কারণ এর ফলে অনেক ফ্যাসাদের জন্ম হয় এবং অনেক স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কোন জিনিস ত্যাগ করে, আল্লাহ তাকে তার চেয়ে উত্তম জিনিস দান করেন। আল্লাহ ভাল জানেন।
সমাপ্ত


fiamanillah

গান-বাজনা ও হারাম জিনিসের আয়োজন ব্যতীত মীলাদুন্নবী উদযাপন

Posted Posted by আরিফ in Comments 0 comments


শাখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
অনুবাদ : সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
﴿ حكم الاحتفال بذكرى مولد الرسول صلى الله عليه وسلم من غير غناء ولا محرمات ﴾
« باللغة البنغالية  »
الشيخ محمد صالح المنجد
ترجمة: ثناء الله نذير أحمد
مراجعة: د. أبو بكر محمد زكريا
প্রশ্ন :
আমরা স্পাহানবাসী, আমরা সভা সমাবেশকে একতা, ভ্রাতৃত্ব বন্ধন, নতুন প্রজন্মের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি, দ্বীনের প্রতি তাদের গর্ব ও আত্মসম্মান বৃদ্ধি এবং আমাদের প্রজন্মের চরিত্র ও আচরণের উপর প্রভাব সৃষ্টিকারী বিধর্মীদের মনগড়া উৎসব যেমন ভালবাসা দিবস ইত্যাদি থেকে সুরক্ষার উদ্দেশ্যে আমরা ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করি, এ কাজ কি বৈধ ?


উত্তর : আল-হামদুলিল্লাহ
প্রথমত :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম তারিখ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মতবিরোধ রয়েছে, তবে এ ব্যাপারে তারা একমত যে, হিজরির এগারতম বছর রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যু হয়েছে ! বর্তমান যুগে এ মৃত্যু দিবসেই কিছু লোক মাহফিলের আয়োজন করে ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপন করছে

দ্বিতীয়ত :
ইসলামি শরী‘আতে ঈদে মীলাদুন্নবী নামে কোন অনুষ্ঠান নেই সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈ ও কোন ইমাম এ জাতীয় ঈদের সাথে পরিচিত ছিলেন না, এসব অনুষ্ঠান পালন করা তো পরের কথা মূর্খ বাতেনী গ্রুপের কতক লোক এ ঈদের সূচনা করলে কতিপয় শহরের লোকেরা এ বিদআতের দিকে ধাবিত হয়

তৃতীয়ত :
সুন্নতের কতক সত্যিকার ভক্ত নিজ দেশের এসব অনুষ্ঠান দেখে প্রভাবিত হয়, তারা এসব বিদআত থেকে নিজেদের সুরক্ষার জন্য পরিবার নিয়ে জমায়েত হয়, বিশেষ খাবারের আয়োজন করে এবং সবাই মিলে খায় একই উদ্দেশ্যে কেউ বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের একত্র করে, কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন চরিত আলোচনা অথবা দীনি বক্তৃতা উপস্থাপনের জন্য লোকদের একত্র করে
সন্দেহ নেই এর উদ্দেশ্য আপনাদের ভাল, যেমন পরস্পরের মাঝে ঐক্য তৈরি, অমুসলিম প্রদান ও কুফরি দেশে ইসলামি মূল্যবোধ সৃষ্টি করা ইত্যাদি
তবে বাস্তবতা হচ্ছে : আপনাদের এসব ভাল উদ্দেশ্য কোন অনুষ্ঠানকে বৈধতার সনদ দেয় না, বরং এসব ঘৃণিত বিদআতআপনাদের ঈদের প্রয়োজন হলে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাই যথেষ্ট, আরও ঈদের প্রয়োজন হলে আমাদের সাপ্তাহিক ঈদ জুমার দিন পালন করুন, এতে আপনারা জুমার সালাত ও দ্বীনের মূল্যবোধ তৈরির জন্য একত্র হোনএটা সম্ভব না হলে এসব বিদআতী অনুষ্ঠান ব্যতীত বছরের আরও অনেক দিন রয়েছে, সেখানে বিভিন্ন বৈধ উপলক্ষে একত্র হতে পারেন, যেমন বিয়ের অনুষ্ঠান অথবা ওলিমার দাওয়াত অথবা আকিকা অথবা বিশেষ উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ইত্যাদিএসব অনুষ্ঠানকে আপনারা পরস্পর সম্প্রতি সৃষ্টি, একতার বন্ধন তৈরি ও দ্বীনের মূল্যবোধ জাগ্রত করার ন্যায় ইত্যাদি সৎ উদ্দেশ্যে কাজে লাগাতে পারেন

নিম্নে ভাল নিয়তে বিদআতি অনুষ্ঠানে যোগদান সম্পর্কে আলেমদের ফতোয়া উল্লেখ করছি :
এক. ইমাম আবু হাফস তাজুদ্দিন আল-ফাকেহানি -রাহিমাহুল্লাহ- মীলাদের বিভিন্ন প্রকার সম্পর্কে বলেন : কোন ব্যক্তির নিজ অর্থায়নে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও সন্তানদের জন্য মাহফিলের আয়োজন করা, শুধু পানাহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা এবং পাপের কোন সুযোগ না রাখা, এসব অনুষ্ঠানকেই আমরা বিদআত, ঘৃণিত ও মাকরুহ বলছি, কারণ এ ধরণের অনুষ্ঠান আমাদের কোন মনীষী করেননি, যারা ছিল ইসলামের পণ্ডিত, যুগ শ্রেষ্ঠ আলেম, যুগের আলোকবর্তিকা ও জগতবাসীর উজ্জ্বল নক্ষত্র দেখুন : আল-মাওয়ারেদ ফি আমালিল মাওলিদ পৃষ্ঠা : (৫)

দুই. ইবনুল হাজ আল-মালেকি -রাহিমাহুল্লাহ- গান-বাজনা ও নারী-পুরুষের সহবস্থান মুক্ত ঈদে মীলাদুন্নবী সম্পর্কে বলেন : ঈদে মীলাদুন্নবী যদি এসব পাপাচার মুক্ত শুধু খানার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে উদযাপন করা হয় এবং তাতে বন্ধু-বান্ধবদের আহ্বান করা হয় : তাহলে শুধু নিয়তের কারণে এ অনুষ্ঠান বিদআত হিসেবে গণ্য হবে, কারণ এটা দ্বীনের মধ্যে সংযোজনের শামিল, পূর্বসূরিদের আমল বিরোধী এবং তাদের নিয়ত ও কর্মের খেলাফআমাদের তুলনায় তাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্য, সম্মান ও মহব্বত বেশী ছিলদ্বীনি বিষয়ে তারা ছিলেন আমাদের চেয়ে অগ্রগামীতাদের কেউ মীলাদের নিয়ত করেননিআমরা তাদের অনুসারী, অতএব তাদের জন্য যা যথেষ্ট, আমাদের জন্যও তাই যথেষ্টমৌলিক ও পূর্বাপর সকল বিষয়েই তারা আমাদের আদর্শ ও পথিকৃৎইমাম আবু তালেব আল-মাক্কী -রাহিমাহুল্লাহ- তার কিতাবে অনুরূপই বলেছেন দেখুন : আল-মাদখাল : (২/১০)
তিনি আরও বলেন : কেউ কেউ এসব হারাম গান-বাদ্যের পরিবর্তে বুখারি খতম দ্বারা ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করেসন্দেহ নেই হাদিসের দরস ইবাদাত ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম, এতে রয়েছে বরকত ও কল্যাণ, কিন্তু এসব হাসিল করার জন্য শরী‘আত অনুমোদিত পন্থা অবলম্বন করা জরুরী, মীলাদের উদ্দেশ্যে তা পাঠ করা নয়, যেমন সালাত আল্লাহর বিশেষ ইবাদাত, তবুও অসময়ে এ সালাত পড়া নিন্দনীয়, সালাতের এ অবস্থা হলে অন্যান্য ইবাদাতের অবস্থা কি হবে ?! দেখুন : আল-মাদখাল : (২/২৫)

মোদ্দাকথা : এসব মৌসুমে আপনাদের উল্লেখিত সৎ উদ্দেশ্যে যেমন পরস্পর একতা তৈরি, উপদেশ ও নসিহত প্রদান ইত্যাদি নিয়তে জমা হওয়া বৈধ নয়, বরং এসব উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য অন্য কোন উপলক্ষ বেছে নিন, পুরো বছরের যে কোন একটি দিন নির্ধারণ করুনদোয়া করছি আল্লাহ আপনাদের কল্যাণের চেষ্টা করার তাওফিক দান করুন এবং আপনাদের হিদায়াত ও তাওফিক বৃদ্ধি করুনআল্লাহ ভাল জানেন

সমাপ্ত


হিজরি নববর্ষ উপলক্ষে অভিনন্দন বিনিময়ের বিধান

Posted Posted by আরিফ in Comments 0 comments


  حكم التهنئة بالعام الهجري الجديد
[اللغة البنغالية]
kvqL Avjvfx web Avãyj Kvw`i mv°vd
الشيخ علوي بن عبدالقادر السقاف
Abyev` : BKevj †nvmvBb gvmyg
ترجمة: إقبال حسين معصوم
m¤úv`bv : bygvb Aveyj evkvi
مراجعة: نعمان ابو البشر

 المكتب التعاوني للدعوة وتوعية الجاليات بالربوة بمدينة الرياض
Avj&nvg`y wjj­vwn ivweŸj Avjvgxb, IqvmmvjvZz Iqvmmvjvgy ÔAvjv LvZvwgj Avw¤^qvB Iqvj-gyimvixb : /
mKj cÖksmv wek¦ cÖwZcvjK Avj­vn ZvÕAvjvi R‡b¨| mvjvZ I mvjvg †kl bex gynv¤§` mvj­vj­vû AvjvBwn Iqvmvj­v‡gi cÖwZ|
Awfb›`b wewbg‡qi wKQy Dcj¶ :
1.                  cvi¯úwiK ¯^vfvweK Awfb›`b| hv G‡K Aci‡K bZzb †Kvb wbqvgZ AR©b ev gywmeZ †_‡K gyw³i cÖv°v‡j w`‡q _v‡K| D‡Ïk¨ Avj­vni ïKwiqv Ávcb Ges GKRb gymwjg fvB‡K Avbw›`Z I DrmvwnZ Kiv| GUv †Kvb w`b¶Y ev gvm, erm‡ii AvMgb-cÖ¯’v‡bi mv‡_ m¤ú„³ bq| †hgb, weevn, bZzb mš—vb jvf, cix¶vq K…ZKvh©, PvKzwi jvf Kiv BZ¨vw` Dcj‡¶ Awfb›`b cÖ`vb|
Giƒc Awfb›`b Av`vb-cÖ`v‡b kixi †Kvb mgm¨v †bB GwU GKwU gvbweK ¯^fveMZ welq, eis Avkv Kiv hvq G‡Z Awfb›`b cÖ`vbKvix QvIqve cv‡eb| KviY wZwb GKRb gymwjg fvB‡K cÖdzj­ Ki‡jb| Avbw›`Z Ki‡jb| hv‡Z †m Drmvn †eva Ki‡e| kvBLyj Bmjvg Be‡b ZvBwgqvn in. Gi g‡Z| gyevn KvR fvj wbq‡Z m¤úwK©Z n‡j Kj¨vY g~jK Kg© wn‡m‡e we‡ewPZ nq| Avi g›` wbq‡Z m¤úv`b Ki‡j g›` K‡g©i wfZi MY¨ nq|
2.                 wbw`©ó mgq †hgb C`, ermi, gvm, w`b Dcj‡¶ Awfb›`b Av`vb-cÖ`vb Gi weavb m¤ú‡K© we‡k­lY cÖ‡qvRb| C`-C`yj Avhnv, C`yj wdZi Dcj‡¶ Awfb›`b cÖm‡½ bZzb K‡i ejvi wKQy †bB| GwU Rv‡qh g‡g© †gvUvgywU mK‡ji wbKUB cwi®‹vi| D‡j­L‡hvM¨ msL¨K mvnvwe‡`i AvgjØviv cÖgvwYZ| beel© : †hgb wnRwi beel© Dcj‡¶ Awfb›`b| gvm : †hgb igRvb gvm Dcj‡¶ Awfb›`b| Gi GKwU wfwË Av‡Q Ges G cÖm‡½ gZv‰b‡K¨i w`KwUI mK‡ji wbKU cÖwm×|
Avi wewfbœ w`em †hgb bwewRi Rb¥ w`em, Bmiv, wgÕivR w`em BZ¨vw` Dcj‡¶ Awfb›`b wewbgq| Gi weavb ¯úó-mK‡jB Rv‡b- A_©vr we`qvZ| KviY we`qvZ cš’x‡`i ixwZ-bxwZi mv‡_ Gi GKwU m~wÎZv i‡q‡Q| cÖ_gwU e¨ZxZ ewY©Z Awfb›`b mg~‡ni †KvbwU m¤ú‡K©B bex AvKivg mvj­vj­vû AvjvBwn Iqvmvj­vg Ges mvnvwe‡`i Kv‡iv †_‡K †Kvb cÖgvY †bB| A_P Zuv‡`i hy‡M G Dcj‡¶ I Kvh© KviY¸‡jv we`¨gvb wQj Ges Awfb›`b cÖPj‡bi †Kvb cÖwZeÜKZv wQj bv| Zv m‡Ë¡I Zuviv Zv K‡ib wb, bv bwewR wb‡R bv Zuvi †Kvb mvnvwe| eis Zuviv Awfb›`b wewbgq‡K ïaygvÎ `yB C` ch©š— mxwgZ †i‡L‡Qb|
·        weÁ Ejvgv‡q †Kivg †_‡K bee‡l©i ïi“‡Z cvi¯úwiK Awfb›`b I ï‡f”Qv wewbg‡qi weavb m¤ú‡K© `yÕai‡bi gZ cvIqv hvq|
GK. ˆea Ges GwU gvby‡li ¯^fveMZ GKwU welq| cÖL¨vZ gbxlx kvqL gynv¤§` web DmvBgxb i. I G g‡Zi mg_©K| wZwb e‡j‡Qb|
Avgvi g‡Z bee‡l©i ïi“‡Z Awfb›`b I †gveviK ev` cÖ`v‡b kixqx †Kvb mgm¨v †bB| Z‡e welqwU (c~e© †_‡K) Aby‡gvw`Z Ggb bq| GK_vi A_© n‡”Q Avgiv †jvK‡`i Giƒc eje bv †h, G Dcj‡¶ †Zvgv‡`i G‡K Aci‡K Awfb›`b Rvbv‡bv mybœZ| Z‡e nu¨v Zviv hw` Giƒc K‡i Zvn‡j G‡Z †Kvb mgm¨v †bB| GLb hw` †KD KvD‡K Awfb›`b K‡i Zvn‡j Zvi DcwPZ n‡e Zuvi R‡b¨ Avj­vn ZvÕAvjvi wbKU cÖv_©bv Kiv †h G ermiwU †hb Zvi R‡b¨ Kj¨vY I eiK‡Zi ermi nq| Avi gvbyl Awfb›`b Kvgbv K‡i| G gvm Avjv m¤ú‡K© Avwg GZUzKzB Rvwb Ges Avgvi AwfgZ I ZvB| Awfb›`b gvby‡li ¯^fveMZ e¨vcvi, †Kvb Bev`Z m¤úK©xq welq bq|
(لقاء الباب المفتوح( wjKvDj evwej gvdZzn/
G wel‡q kvqL i. Gi Av‡iv e³e¨ Av‡Q (اللقاء الشهري/ wjKv‡q kvnix/ gvwmK mv¶vZKv‡i) wZwb e‡j‡Qb : hw` †KD †Zvgv‡K Awfb›`b-gyeviKev` Rvbvq Zvn‡j ZzwgI Zv‡K Awfbw›`Z Ki‡e| wKš‘ Zzwg Avi¤¢ Ki‡e bv| Ges cÖ_‡g KvD‡K Awfb›`b Rvbv‡e bv| G gvmAvjv‡Z GwUB mwVK|
hw` †Zvgv‡K †KD e‡j, beel© Dcj‡¶ †Zvgv‡K Awfb›`b ev ïf beel© BZ¨vw` Zvn‡j Dˇi Zzwg ej‡e| Avj­vn ZvAvjv †Zvgvi Rb¨ Kj¨vY Ki“b| G ermi‡K †Zvgvi R‡b¨ Kj¨vY I eiKZgq Ki“b| wKš‘ Zzwg cÖ_‡g †jvK‡`i Awfb›`b †`qv ïi“ Ki‡e bv| KviY mvjv‡d mv‡jnxb‡`i †KD Giƒc Awfb›`b Av`vb-cÖ`vb K‡i‡Qb e‡j Avgvi Rvbv †bB| eis mK‡ji Rvbv _vKv fvj, †h c~e©eZ©x gbxlxMY gniig †K erm‡ii ïi“ wnmv‡e Igi iv. Gi †LjvdZ Kvj †_‡K MY¨ Kiv ïi“ K‡i‡Qb|
Avj-wRqvDj jv‡gÕq/ الضياء اللامع MÖ‡š’i 702 c„ôvq e‡j‡Qb
bee‡l©i AvMgb Dcj‡¶ Drme Kiv ev Awfb›`b wewbg‡qi cÖPjb NUv‡bv mybœ‡Zi Aš—f©y³ bq| †KD †KD G Awfb›`b wewbgq Kg©‡K hviv ˆea e‡j gZ w`‡q‡Qb Zv‡`i g‡a¨ kv‡dwq gvRnv‡ei gyZvAvLwLixb‡`i ga¨ n‡Z Bgvg Kvg‡fjx /القمولى Ges Bgvg myq~Zx Avi nv¤^jx‡`i ga¨ n‡Z Bgvg Aveyj nvmvb gvK‡`mxi bvg D‡j­L K‡i‡Qb| K‡jei e„w×i AvksKvq Avwg Gi we¯—vwiZ eY©bvq †Mjvg bv|
(`yB) GwU G‡Kev‡iB wbwl× Avi G gZwUB n‡”Q AMÖvwaKvi †hvM¨ gZ| hviv G gZvgZ e¨³ K‡i‡Q Zuv‡`i Ab¨Zg n‡”Qb mybvb L¨vZ M‡elK kvqL mv‡jn Avj dvDhvb| beel© Dcj‡¶ Awfb›`b wewbgq m¤ú‡K© Zuv‡K cÖkœ Kiv n‡j wZwb Dˇi e‡j‡Qb : G K‡g©i †Kvb kiqx wfwË Av‡Q e‡j Avgv‡`i Rvbv †bB| wnRwi Zvwi‡Li cÖeZ©‡bi D‡Ïk¨ I G wQj bv †h, ïi“ el©‡K †jv‡Kiv GwU Dcj¶ evbv‡e| G‡K Aci‡K Awfb›`b Rvbv‡e| wewfbœ Dcv‡q D`hvcb Ki‡e, Drme Ki‡e, Av‡jvPbv Ki‡e| eis wnRwi ermi I ZvwiL cÖeZ©‡bi g~j D‡Ïk¨ wQj تميز العقود Z_v wewfbœ `vßvwiK Kv‡R k„•Ljv i¶v‡_© Pzw³ I m¤úv`b †hvM¨ welqvejxi GKwU †_‡K AciwU‡K c„_K K‡i mvgÄm¨ weavb| †hgbwU K‡iwQ‡jb nhiZ Igi iv. Zuvi ivRZ¡Kv‡j hLb Bmjvwg †Ljvd‡Zi cwiwa A‡bK we¯—…Z n‡q wM‡q wQj, Zuvi wbKU wewfbœ †÷U †_‡K mgq ZvwiL D‡j­L wenxb A‡bK wPwVcÎ Avm‡Z jvMj, ZLb cÖ‡Z¨K wPwV‡K Avjv`v Avjv`v fv‡e wPwýZ Kiv Ges †jLvi ZvwiL I mgq m¤ú‡K© AewnZ n‡q Kv‡R k„•Ljv I MZ Avbvi R‡b¨ wPwV‡Z ZvwiL jvMv‡bvi cÖ‡qvRbxqZv †`Lv w`j| Igi iv. mvnvev‡`i mv‡_ civgk© Ki‡jb mvnveviv wnRi‡Zi ermi‡K wnRwi Zvwi‡Li m~Pbv K‡i bZzb MYbv ïi“ Kivi civgk© w`‡jb Ges ZrKvjxb we`¨gvb _vKv gxjv`x (Cmvqx) ZvwiL‡K ev` w`‡q wnRiZ‡K cÖ_g a‡i wnRwi m‡bi cÖeZ©b Ki‡jb| hv‡Z hyw³ I †jLvi mgq Rvbv _v‡K Ges KvR myk„•Lj I MwZkxj nq| GwUB wQj wnRwi mb cÖeZ©‡bi g~j KviY| GwU‡K GKwU Dcj¶ evwb‡q wewfbœ Abyôvb-Drme D`hvcb K‡i we`qv‡Zi iv¯—v Z¡ivwš^Z Kivi D‡Ï‡k¨ Gi cÖeZ©b nqwb|
cÖkœ : hw` Avgv‡K †Kvb e¨w³ e‡j : كل عام وأنتم بخير A_©vr mviv ermi Zzwg myL-kvwš—‡K AwZevwnZ Ki| G RvZxq evK¨ Gme w`e‡m wK ˆea?
DËi : bv, Gme Aby‡gvw`Z bq| G¸‡jv Rv‡qhI †bB|
†`Lyb: الإجابات المهمة فى المشاكل الملحة Avj BRvevZzj gywn¤§vn wdj gvkvwKwjj gywj¤§vn| c„: 229
G wel‡q Mfxi fv‡e wPš—vkxj e¨w³ ÒAwfb›`b wbwl×Ó g‡g© e³e¨‡K mg_©b †hvM¨ e‡j we‡ePbv Ki‡eb e‡j Avgv‡`i wek¦vm| Gi KviY A‡bK| wKQy wb‡gœ cÖ`Z¡ nj|
(1) G Awfb›`b Kg©wU erm‡ii Ggb GKwU w`‡b m¤úvw`Z n‡e hv cÖwZ ermi evi evi wd‡i Avm‡e| d‡j G‡K Ab¨vb¨ D`hvcb †hvM¨ w`‡bi mv‡_ MY¨ Kiv n‡e A_P Avgv‡`i‡K C`yj wdZi Ges C`yj Avhnv e¨ZxZ Ab¨ †Kvb C` D`hvcb Ki‡Z wb‡la Kiv n‡q‡Q| G w`KwUi we‡ePbvq bee‡l© Awfb›`b gyeviKev` wewbgq‡K wb‡la Kiv n‡e|
(2) GwU Bqvû`x-bvmviv‡`i mv`„k¨vej¤^b| A_P Avgv‡`i‡K Zv‡`i we‡ivwaZv Kivi wb‡`©k †`qv n‡q‡Q| Bqvû`xiv wneªy (Hebrwe) e‡l©i ïi“‡Z hv (تسري) Zvkix bvgK gv‡m ïi“ nq, G‡K Aci‡K Awfb›`b Rvbvq| ï‡f”Qv wewbgq K‡i| Zvkix (تسري) n‡”Q Bqvû`x‡`i cÖ_g gvm| kwbev‡ii b¨vq Gw`bI hveZxq KvR-Kg© nvivg Avi bvmviv (L„óvb) iv Cmvqx e‡l©i ïi“‡Z ci¯úi Awfb›`b Av`vb cÖ`vb I ï‡f”Qv wewbgq K‡i|
(3) Gi gva¨‡g AwMœc~RK Ges Avie¨ gykwiK‡`i mv`„k¨vej¤^b Ges Zv‡i` AbyKiY Kiv nq| AwMœc~RKiv bI‡ivR Z_v Zv‡`i ïi“ e‡l© Awfb›`b wewbgq KiZ| bI‡ivR A_© n‡”Q-bZzb w`b| Avi Rv‡njx hy‡Mi Avieiv gyniig gv‡mi cÖ_gw`‡b wbR ivRv‡`i‡K gyeviKev` RvbvZ| Avj­vgv Kvhfxbx i. ¯^xq wKZvey AvRv‡qeyj gvLjyKvZ
GgwbwUB eY©bv K‡i‡Qb| †`Lyb : الأعياد وأثرها على المسلمين Avj AvÕBqv` Iqv AvQi“nv Avjvj gymwjgxb| W. myjvBgvb Avj mynvBgx

(4) wnRwi beel© Dcj‡¶ Awfb›`b‡K ˆeaZv cÖ`vb Kiv cÖKvivš—‡i G RvZxq A‡bK w`em Dcj‡¶ Awfb›`b wewbg‡qi iv¯—v m¤ú~Y©iƒ‡c Ly‡j †`qv| †hgb wk¶v e‡l©i m~Pbv Dcj‡¶ Awfb›`b Av`vb-cÖ`vb, ¯^vaxbZv w`em, RvZxq w`em Abyiƒc A‡bK w`em hv beel© Dcj‡¶ Awfb›`b Rv‡qh g‡g© gZ cÖ`vb KvixivI  e‡jwb| eis GmKj w`e‡m Awfb›`b ˆea nIqvi `vwe bee‡l© Awfb›`b ˆea nIqvi †P‡qI †Rviv‡jv †Kbbv bex Kvixg I mvnvev‡`i hy‡M Gme w`e‡m Awfb›`b cÖPj‡bi Kvh©KviY Abycw¯’Z wQj Avi beel© Dcj‡¶ wQj we`¨gvb|
(5) Awfb›`b‡K ˆea e‡j ivq †`qvi A_©B n‡”Q Zv‡Z A‡bK e¨vcKZv I my‡hvM cÖ`vb Kiv| hvi Kvi‡Y †gvevBj †dv‡b wPwVi Av`vb cÖ`vb, wfD Kv‡W©i Av`vb-cÖ`vb hw`I Zviv G‡K Awfb›`b evZ©v e‡j _v‡K| †e‡o hv‡e G Dcj‡¶ cwÎKv¸‡jv we‡kl †µvocÎ †ei Ki‡e, wgwWqv Z_v m¨v‡UjvBU P¨v‡bj, †Uwjwfkb, B›Uvi‡bU BZ¨vw`‡ZI we‡kl Av‡qvRb Kiv n‡e| eis GK ch©v‡q G‡m Awfb›`b Rvbv‡bvi R‡b¨ ågY Kiv n‡e| G Dcj‡¶ wewfbœ Abyôvb D`hvcb Kiv n‡e Ges miKvix QywU †NvlYv Kiv n‡e GwU †Kvb AjxK Kvwnwb bq eis we‡k¦i †Kvb †Kvb iv‡óª B‡Zvg‡a¨ Gme ïi“ n‡q wM‡q‡Q| GLb gvbyl hw` Gme K‡i Af¨¯— n‡q hvq Ges G¸‡jv Zv‡`i ¯^fv‡e cwiYZ nq Zvn‡j hviv GmKj (evovevox c~Y©) KvR K‡i Avi wb‡la Ki‡Z cvi‡e bv| myZivs Awfb›`‡bi iv¯—v eÜ KivB msMZ|
(6) wnRwi beel© Dcj‡¶ Awfb›`b Av`vb-cÖ`v‡bi g~jZ †Kvb A_© †bB| KviY Awfb›`‡bi g~j A_©‡Zv n‡”Q bZzb †Kvb wbqvgZ AwR©Z nIqv ev †Kvb ¶wZKi wRwbm‡K cÖwZnZ Ki‡Z cviv Ges Avb›` cÖKvk ¯^iƒc Awfb›`b wewbgq Kiv| GLb cÖkœ n‡”Q GKwU wnRwi el© †kl nIqvi gva¨‡g Kx wbqvgZ AwR©Z nj? eis AwaK hyw³hy³ I msMZ n‡”Q, GKwU ermi Rxeb †_‡K P‡j †Mj| eqm K‡g †Mj g„Zz¨ Nwb‡q Avmj Gme wb‡q wPš—v Kiv Ges wk¶v MÖnY Kiv|
Av‡iv we¯§qKi e¨vcvi n‡”Q we`vwq e‡l©i gva¨‡g gymjgvbiv G‡K Aci‡K Awfb›`b Rvbvq A_P Zv‡`i kΓ Zv‡`i f~wg `Lj K‡i wb‡q‡Q| Zv‡`i fvB‡`i nZ¨v K‡i‡Q| Zv‡`i m¤ú` jyÉb K‡i‡Q| ZLb Zviv wb‡R‡`i wK w`‡q Awfbw›`Z Ki‡e?
Gme w`K we‡ePbv Kiv Avgiv eje, Awfb›`b- gyeviKev` beel© Dcj‡¶ wbwl× nIqviB `vwe iv‡L Ges GwUB mwVK hyw³ msMZ| hw` †KD Avcbv‡K G Dcj‡¶ Awfb›`b Rvbvq Avcbvi DwPZ n‡e Zv‡K eySv‡bv I bwmnZ Kiv| KviY cvëv Awfb›`b Rvbv‡bv Ges cÖKvi Gi ˆeaZv‡K ¯^xKvi K‡i bv|
mvjv‡gi Av`vb-cÖ`v‡bi Dci G‡K Zzjbv Kiv hvq bv| Zzjbv Kiv n‡j, GwU n‡e GKwU AmsjMœ KvR|
Z‡e welqwU †h‡nZz BR‡Znv`x ZvB Lye K‡Vvi fv‡e cÖZ¨vL¨vb I wb›`v Kiv wVK n‡e bv| BR‡Znv`x gvmAvjv-gvmv‡q‡ji †¶‡Î †Kvb BbKvi †bB|
والله أعلم وصلى الله على نبينا محمد وعلى آله وصحبه وسلم.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম-মৃত্যুর তারিখ সম্পর্কে আলেমদের বিভিন্ন বক্তব্য ও বিশুদ্ধ অভিমত

Posted Posted by আরিফ in Comments 0 comments

শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
অনুবাদ : সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ

প্রশ্ন :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ কোনটি, এ বিষয়ে অনেকগুলো অভিমত আমার সংগ্রহে রয়েছে, বিশুদ্ধ অভিমত কোনটি, কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে জানতে চাই ?

উত্তর : আল-হামদুলিল্লাহ
প্রথমত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের নির্দিষ্ট দিন ও মাস সম্পর্কে ঐতিহাসিকগণ বিভিন্ন মত পেশ করেছেন। এর পশ্চাতে যৌক্তিক কারণও রয়েছে, যেহেতু কারোই জানা ছিল না এ নবজাতকের ভবিষ্যৎ কেমন হবে ? তাই সবার নিকট অন্যান্য জন্মের ন্যায় তার জন্ম স্বাভাবিক ও অগুরুত্বপূর্ণ ছিল, এ জন্য কারো পক্ষেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম তারিখ নির্দিষ্ট ও চূড়ান্তভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

ড. মুহাম্মদ তাইয়েব আন-নাজ্জার -রাহিমাহুল্লাহ- বলেন :
“এর রহস্য সম্ভবত এই যে, যখন তিনি জন্ম গ্রহণ করেন, তখন তার থেকে কেউ এমন বিপদ আশঙ্কা করেনি, আর এ জন্যই জন্মলগ্ন থেকে নবুওয়াত প্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত বিশ্ববাসীর দৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি পরিণত হননি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের চল্লিশ বছর পর যখন আল্লাহ তাআলা তাকে রিসালাতের দাওয়াত পৌঁছানোর নির্দেশ প্রদান করেন, তখন থেকেই মানুষ এ নবী সংক্রান্ত তাদের শ্রুত ঘটনাগুলো স্মরণ করা আরম্ভ করে, সম্ভাব্য ও অপরিচিত প্রত্যেক লোকের কাছ থেকেই তার ইতিহাস জানার চেষ্টা করে, এ বিষয়ে তাদেরকে অনেকটা সমৃদ্ধ করেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খোদ নিজের বর্ণনা, বুঝ হওয়ার পর থেকে তার উপর দিয়ে যেসব ঘটনা অতিক্রান্ত হয়েছে, অথবা তিনি যেসব পরিস্থিতি পার করেছেন, অনুরূপ তার সাহাবাদের বর্ণনা এবং যারা এসব ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল তাদের বর্ণনা। মুসলমানেরা তাদের নবীর ইতিহাস সংক্রান্ত শ্রুত সব ঘটনা সংগ্রহ করা আরম্ভ করেন, যেন কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের জন্য তা বর্ণনা করে যেতে পারেন”। “আল-কাওলুল মুবিন ফী সীরাতে সায়্যেদিল মুরসালীন” : (পৃষ্ঠা নং: ৭৮)

দ্বিতীয়ত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের নির্দিষ্ট বছর ও দিন সম্পর্কে সকলে একমত :
জন্মের নির্দিষ্ট বছর : তার জন্মের নির্দিষ্ট বছর ছিল “আমুল ফিল” তথা হস্তি বাহিনীর বছর। ইমাম ইবনুল কাইয়ূম -রাহিমাহুল্লাহ- বলেন : “এতে সন্দেহ নেই যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার অভ্যন্তরে হস্তি বাহিনীর বছর জন্ম গ্রহণ করেন।” “যাদুল ‘মা‘আদ” : (১/৭৬)
মুহাম্মদ ইব্‌ন ইউসুফ সালেহি -রাহিমাহুল্লাহ- বলেছেন : “ইব্‌ন ইসহাক -রাহিমাহুল্লাহ- বলেন : তার জন্ম ছিল হস্তি বাহিনীর বছর। ইব্‌ন কাসির -রাহিমাহুল্লাহ- বলেন : জমহুরের নিকট এ অভিমতই প্রসিদ্ধ। ইমাম বুখারির উস্তাদ ইবরাহিম ইব্‌ন মুনযির বলেছেন : এ ব্যাপারে কোন আলেম দ্বিমত পোষণ করেননি। খলিফা ইব্‌ন খিয়াত, ইব্‌ন জাযার, ইব্‌ন দিহইয়াহ, ইব্‌ন জাওযি ও ইব্‌নুল কাইয়ূম এ মতের উপর সকলের ঐক্য নকল করেছেন।” “সুবুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফি সিরাতে খাইরিল ইবাদ” : (১/৩৩৪-৩৩৫)

ড. আকরাম দিয়া আল-উমরি -ওয়াফ্‌ফাকাহুল্লাহ- বলেন :
“সত্য হলো : হস্তি বাহিনীর বিপরীত মতগুলোর প্রত্যেকটি সনদ দুর্বল, যার দ্বারা বুঝে আসে যে, তার জন্ম ছিল হস্তি বাহিনীর দশ বছর অথবা তেইশ বছর অথবা চল্লিশ বছর পর, তবে অধিকাংশ আলেম বলেছেন তার জন্ম হস্তি বাহিনীর বছর। আধুনিক যুগে মুসলিম ও পাশ্চাত্য গবেষকদের পরিচালিত গবেষণা এ মতই সমর্থন করে, তারা বলেছেন হস্তি বাহিনীর বছর ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ অথবা ৫৭১ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ছিল”। “আস-সিরাতুন নববিয়াহ আস-সাহিহাহ” : (১/৯৭)

নির্দিষ্ট দিন : সোমবার তিনি জন্ম গ্রহণ করেন, এতে কারো দ্বিমত নেই। এ দিনে তাকে নবুওয়ত প্রদান করা হয়, এ দিনেই তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
আবু কাতাদা আনসারি -রাদিআল্লাহু আনহু- থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন :
سئل صلى الله عليه وسلم عن صوم يوم الاثنين ؟ قال : ذاك يوم ولدت فيه ، ويوم بعثت - أو أنزل علي فيه). رواه مسلم : (1162)
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সোমবার দিনের সিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি বলেন : এ দিনে আমি জন্ম গ্রহণ করেছি এবং এ দিনেই আমাকে নবুওয়াত প্রদান করা হয়।” মুসলিম : (১১৬২)
ইব্‌ন কাসির -রাহিমাহুল্লাহ- বলেছেন : “যারা বলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমার দিন রবিউল আউয়াল মাসের সতের তারিখ জন্ম গ্রহণ করেছেন, তাদের কথা সুদূর পরাহত বরং ভুল। জনৈক শি‘আ-এর লিখিত কিতাব “ইলামুর রুওয়া বি আলামিল হুদা” থেকে হাফেজ ইব্‌ন দিহইয়াহ উপরোক্ত মন্তব্য নকল করেন, অতঃপর তিনি এর দুর্বলতা প্রমাণ করেন, এ মতটি আসলেই দুর্বল, কারণ হাদিসের বিপরীত”। “আস-সিরাতুন নববিয়াহ” : (১/১৯৯)

তৃতীয়ত :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের ব্যাপারে মত বিরোধ হচ্ছে নির্দিষ্ট মাস ও নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে, এ বিষয়ে আমরা আলেমদের বিভিন্ন অভিমত জানতে পেরেছি, যেমন :
এক. কেউ বলেছেন: রবিউল আউয়ালের দ্বিতীয় তারিখ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্ম গ্রহণ করেন।
ইব্‌ন কাসির -রাহিমাহুল্লাহ- বলেন : “কেউ বলেছেন রবিউল আউয়ালের দ্বিতীয় তারিখ। ইব্‌ন আব্দুল বারর “ইস্তেআব” গ্রন্থে এ অভিমত বলেন। ওয়াকেদি এ বর্ণনাটি আবু মাশার নাজিহ ইব্‌ন আব্দুর রহমান আল-মাদানি থেকেও নকল করেন”। “আস-সিরাতুন নববিয়াহ” : (১/১৯৯)
দুই. কেউ বলেছেন: রবিউল আউয়াল মাসের আট তারিখ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্ম গ্রহণ করেন।
ইব্‌ন কাসির -রাহিমাহুল্লাহ- বলেন : “কেউ বলেছেন : রবিউল আউয়ালের আট তারিখ, এ বর্ণনাটি হুমাইদি ইব্‌ন হাজম থেকে বর্ণনা করেন। আর মালেক, উকাইল ও ইউনুস ইব্‌ন ইয়াজিদ প্রমথগণ এ বর্ণনাটি জুহরি থেকে, তিনি মুহাম্মদ ইব্‌ন জুবাইর ইব্‌ন মুতয়িম থেকে বর্ণনা করেন। ইব্‌ন আব্দুল বারর বলেন, ঐতিহাসিকরা এ মতটি বিশুদ্ধ বলেছেন। হাফেজ মুহাম্মদ ইব্‌ন মুসা আল-খাওয়ারজেমি এ তারিখের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত। হাফেজ আবুল খেতাব ইব্‌ন দিহইয়াহ ‘আত-তানবির ফি মাওলিদিল বাশিরিন নাজির’ গ্রন্থে এ মতটিই প্রাধান্য দিয়েছেন”। “আস-সিরাতুন নববিয়াহ” : (১/১৯৯)
তিন. কেউ বলেছেন : রবিউল আউয়ালের দশ তারিখ।
ইব্‌ন কাসির -রাহিমাহুল্লাহ- বলেন : “কেউ বলেছেন : রবিউল আউয়ালের দশ তারিখ। এ মতটি ইব্‌ন দিহইয়াহ তার গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। ইব্‌ন আসাকের আবু জাফর আল-বাকের থেকে এবং মুজালিদ শা‘বি থেকে অনুরূপ মতই বর্ণনা করেন”। “আস-সিরাতুন নববিয়াহ” : (১/১৯৯)
চার. কেউ বলেছেন : রবিউল আউয়ালের বারো তারিখ।
ইব্‌ন কাসির -রাহিমাহুল্লাহ- বলেন : “কেউ বলেছেন রবিউল আউয়ালের বারো তারিখ। ইব্‌ন ইসহাক এ মত বর্ণনা করেন। ইব্‌ন আবু শায়বাহ তার ‘মুসান্নাফ’ গ্রন্থে এ মতটি আফ্‌ফান থেকে, সে সাঈদ ইব্‌ন মিনা থেকে, সে জাবের ও ইব্‌ন আব্বাস থেকে বর্ণনা করে, তারা উভয়ে বলেছেন : ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হস্তি বাহিনীর বছর, রবিউল আউয়াল মাসের বারো তারিখ, সোমবার দিন জন্ম গ্রহণ করেন। এ দিনেই তাকে নবুওয়াত প্রদান করা হয়, এ দিনেই তার মিরাজ হয়েছিল, এ দিনেই তিনি হিজরত করেছেন এবং এ দিনেই তিনি মারা যান’। জমহুর আলেমদের নিকট এ মতটিই বেশী প্রসিদ্ধ”। “আস-সিরাতুন নববিয়াহ” : (১/১৯৯)
কেউ বলেছেন : রমযান মাস, আবার কেউ বলেছেন সফর মাস ইত্যাদি মতও রয়েছে।

আমাদের কাছে স্পষ্ট যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রবিউল আউয়াল মাসের আট বা বারো তারিখের কোন একদিন জন্ম গ্রহণ করেন। কতক মুসলিম গণিত ও জ্যোতির্বিদ গবেষণা দ্বারা বের করেছেন যে, রবিউল আউয়াল মাসের নয় তারিখ-ই মোতাবেক সোমবার হয় ! তাহলে এটা আরেকটি মত হল। এ মতটি শক্তিশালী, এ তারিখ ৫৭১ খৃষ্টাব্দের নিসানের বিশ তারিখ মোতাবেক। বর্তমান যুগের কতক সিরাত লেখক এ মতটিই প্রাধান্য দিয়েছেন, তাদের মধ্যে উস্তাদ মুহাম্মদ আল-খিদরি ও শফিউর রহমান মোবারকপুরি অন্যতম।
আবু কাসেম আস-সুহাইলি -রাহিমাহুল্লাহ- বলেছেন : “গণিতবিদগণ বলেন : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম সৌর মাস “নিসান”-এর বিশ তারিখ মোতাবেক ছিল”। “আর-রওদুল উন্‌ফ” : (১/২৮২)
উস্তাদ মুহাম্মদ আল-খুদারী -রাহিমাহুল্লাহ- বলেন : “মিসরের জ্যোতির্বিজ্ঞানী মরহুম মাহমুদ বাশা, যিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানী, ভূ-গোল, গণিত বিদ্যা, লিখনি ও গবেষণায় ব্যাপক পারদর্শী ছিলেন, (মৃত্যু : ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম ছিল সোমবার সকাল বেলা, রবিউল আউয়াল মাসের নয় তারিখ, মোতাবেক এপ্রিল / নিসান-এর বিশ তারিখ, ৫৭১খ্রিষ্টাব্দ। এ বছরটি হস্তি বাহিনীর প্রথম বছর মোতাবেক। তিনি জন্ম গ্রহণ করেন বনু হাশেম পল্লীতে আবু তালেবের ঘরে”। “নূরুল ইয়াকিন ফি সিরাতে সাইয়্যেদিল মুরসালিন”, পৃষ্ঠা : (৯) আরও দেখুন : “আর-রাহিকুল মাখতুম” : (পৃষ্ঠা নং: ৪১)


চতুর্থত :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যু : এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই যে, তিনি সোমবার দিন মারা গেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুধবার মারা গেছেন মর্মে ইব্‌ন কুতাইবার বর্ণনা বিশুদ্ধ নয়, তবে এর দ্বারা যদি তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাফন করা বুঝান তাহলে ঠিক আছে।
মৃত্যুর বছর : এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই যে, তিনি এগারো হিজরিতে মারা যান।
মৃত্যুর মাস : এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই যে, তিনি রবিউল আউয়াল মাসে মৃত্যু বরণ করেন।
কিন্তু এ মাসের নির্দিষ্ট তারিখের ব্যাপারে আলেমদের মত পার্থক্য রয়েছে :
এক. জমহুর আলেমগণ বলেছেন : রবিউল আউয়াল মাসের বারো তারিখ।
দুই. খাওয়ারেযমি বলেছেন : রবিউল আউয়ালের প্রথম তারিখ।
তিন. ইব্‌নুল কালবি ও আবু মিখনাফ বলেছেন : রবিউল আউয়াল মাসের দ্বিতীয় তারিখ। সুহাইলি ও হাফেজ ইব্‌ন হাজার এ মতের দিকেই ধাবিত হয়েছেন।
তবে জমহুর আলেমগণের মতই প্রসিদ্ধ যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগারো হিজরিতে রবিউল আউয়াল মাসের বারো তারিখ মৃত্যু বরণ করেন। দেখুন : “আর-রওদুল উন্‌ফ, লি সুহাইলি”: (৪/৪৩৯-৪৪০), “আস-সিরাহ আন-নববিয়াহ”, লি ইব্‌ন কাসির : (৪/৫০৯), “ফাতহুল বারি”, লি ইব্‌ন হাজার : (৮/১৩০)। আল্লাহ ভাল জানেন।



চুরি, ডাকাতি, জবরদখল ও ছিনতাই

Posted Posted by আরিফ in Comments 0 comments

আব্দুস সালাম সুনামগঞ্জী

কারো সংরতি মাল তার অজ্ঞাতে চুপিসারে নিয়ে যাওয়াকে চুরি বলা হয়। আর অন্যায়ভাবে কারো সম্পদের উপর জবরদখল বা আধিপত্য কায়েম করাকে বলা হয় ডাকাতি। কারো জমি, বাড়ি অবৈধভাবে দখল করাকে জবরদখল বলে। রাস্তাঘাট থেকে কোন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা পয়সা আসবাবপত্র ছিনিয়ে নেয়াকে ছিনতাই বলে। উক্ত পন্থায় মাল-সম্পদ উপার্জন করাকে আল্লাহ তাআলা হারাম করে দিয়েছেন। ইরশাদ করেন 'হে মুমিনগণ! তোমরা একে অন্যের মাল অবৈধ পন্থায় গ্রাস করো না। (বাকারা-১৮৮)
উক্ত আয়াতের অর্থের ব্যাপকতার মাঝে চুরি, ডাকাতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ ও অন্তর্ভুক্ত। কেননা এ সকল পন্থায় ও অন্যের মাল অন্যায়ভাবে গ্রাস করা হয়ে থাকে। তাছাড়াও চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে ইসলাম যে কঠোর শাস্তির কথা ঘোষণা করেছে তা থেকেও বুঝা যায় যে, এ পন্থায় সম্পদ উপার্জন কিছুতেই বৈধ হবে না। কেননা বৈধ হলে এমন কঠিন শাস্তির বিধান কখনই দেয়া হতনা। চুরির শাস্তি সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে 'চোর ও চোরনীর হাত কর্তন করে দাও। (সূরা মায়েদা-৩৮) ডাকাতির শাস্তি সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে '' আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং ভূ-পৃষ্টে ধ্বংসাত্মক কাজ করে বেড়ায় (ছিনতাই, হাইজেক, ডাকাতি করে) তাদের শাস্তি এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে, অথবা শুলে চড়ানো হবে। অথবা তাদের হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিস্কার করা হবে। (সূরা মায়েদাহ-৩৩)
চুরি ডাকাতি জবরদখল ইত্যাদি পন্থায় অন্যের মাল আত্মসাৎ করা যে বৈধ নয় এ সম্পর্কে হাদীসেও সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। এক হাদীসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, কোন মুসলমান ব্যক্তির মাল-সম্পদ তার স্বত:স্ফূর্ত সন্তুষ্টি ছাড়া কারো জন্য বৈধ হবে না। (ইবনে হিব্বান, আবু ইসহাক) অন্যত্র ইরশাদ করেন ''তোমাদের পরস্পরের জান ও মাল অপরের জন্য হারাম। (বুখারী ও আহমদ)
হযরত সাঈদ ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কারো এক বিগতজমিন (জমি-জায়গা) জোরপূর্বক (অন্যায়ভাবে) দখল করবে, কেয়ামতের দিন সাত তবক (সাত স্তর বিশিষ্ট) জমিন থেকে ঐ অংশটুকু তার গলায় বেড়িরূপে পরিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম) অন্যত্র ইরশাদ করেন ''যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো কিছু জমি নিবে কেয়ামতের দিন তাকে সাত তবক জমিন পর্যন্ত ধ্বসিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী, মিশকাত-২৫৬) অন্যত্র রাসূল সা. ইরশাদ করেন। ''যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো জমিন দখল করবে তাকে ইহার মাটি (মাথায় করে) হাশরের মাঠে নিয়ে যেতে বাধ্য করা হবে। (মিশকাত-২৫৬)
অন্যায়ভাবে অন্যের জমি জায়গা দখল ও ভোগ দখলের তিন প্রকার শাস্তি বা পরিণতির কথা বলা হয়েছে। (১) দখলকৃত জমি দখলদারীর গলায় বেড়িরূপে পরিয়ে দেয়া হবে (২) ঐ জমিতেই তাকে পুতে ফেলা হবে। (৩) অথবা জমির মাটি মাথায় নিয়ে হাশরে উপস্থিত হবে। এ তিন প্রকার শাস্তি একজনকেই দেয়া হতে পারে অথবা এক এক শাস্তি পৃথক পৃথক ব্যক্তিকে দেয়া হতে পারে।
উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস সমূহের আলোকে চুরি, ডাকাতি ও জবরদখলের মাধ্যমে উপার্জিত সম্পদ যে অবৈধ হবে, তা সুস্পষ্টভাবেই বুঝা যায়। এসকল পন্থায় উপার্জন পৃথিবীর কোন ধর্ম দর্শনেই বৈধ রাখা হয়নি। তাই আসুন! এসব অপরাধ ত্যাগ করি, তওবা করি।

অবৈধ উপার্জন:
পবিত্র কুরআন চিরন্তন সত্য, পবিত্র কুরআন সমগ্র মানবজাতির কল্যানের আহবায়ক। তাই পবিত্র কুরআন সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করছে। অন্যায়ভাবে কারো অর্থ সম্পদ আত্মসাত করোনা।
আল্লামা শিব্বির আহমদ ওসমানী (রহ.) এর তাফসীরে লিখেছেন এর কয়েকটি ব্যাখ্যা হতে পারে অর্থাৎ (১) কারো ধন সম্পদের খবর কোন অত্যাচারী শাসনকর্তাকে না দেওয়া (২) উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে বিচারকের নিজের প অবলম্বনে রাজী করা এবং অন্যের ধন সম্পদ আত্মসাৎ করার হীন চেষ্টা করা, (৩) এমনিভাবে মিথ্যা সারে মাধ্যমে (৪) মিথ্যা শপথ করে (৫) মিথ্যা মামলা রুজু করে, জেনে-শুনে অন্যের ধন-সম্পদ গ্রাস করতে স্বচেষ্ট হওয়া এসবই অন্যায়, অবৈধ। তাই পবিত্র কুরআন এই সমস্ত অবৈধ পন্থায় রুজী-রোজগার, আহরণ থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছে অত্যন্ত কঠোর ভাষায়। (ফাওয়ায়েদে উসমানী)
এক কথায় মানুষের জন্যে তিকর ও অকল্যাণকর যত পন্থা রয়েছে সবই পবিত্র কুরআন অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। যেমন ঘুষখোরি, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, প্রতারণা, ছল-চাতুরি, পরিমাপে কম দেয়া, কুকুরের মূল্য, ব্যভিচারলব্দ অর্থ, মদ ও মূর্তির ব্যবসা, সুদের ব্যবসা, জুয়ার মাধ্যমে, গান বাদ্যের পারিশ্রমিক, ভেজাল দ্রব্যের বিক্রয় অবৈধ ও হারাম ঘোষণা করেছে ইসলাম। কেননা, এসব পন্থা মানুষের জন্য তিকর, মানবতার জন্য অবমাননাকর।
প্রিয় পাঠকমণ্ডলী! আসুন! আমরা সর্বপ্রকার হারাম খাদ্য, হারাম ও অবৈধ উপার্জন বর্জন করি। নিজে বিরত থাকি অন্যজনকেও বিরত রাখি। দুর্নীতি ও অন্যায় কাজ সামাজিকভাবে বর্জন করার চেষ্টা করি। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার চেষ্টা করি।

লেখক: গ্রন্থকার
শিক, জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজিরবাজার, সিলেট



ঘুষ, আত্মসাৎ

Posted Posted by আরিফ in Comments 0 comments

আব্দুস সালাম সুনামগঞ্জী

আল্লাহপাক মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ট জাতি করে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে জ্ঞান-বুদ্ধি ও কথাবলার শক্তি দান করেছেন। মানুষ সামাজিক জীব, তাই সমাজবদ্ধভাবে শান্তিতে বসবাস করার জন্য ইহকাল ও পরকাল সুখের হওয়ার জন্য জীবন বিধান স্বরূপ কুরআন দান করেছেন। যারা কুরআনের বিধান মত জীবন পরিচালনা করে তারা প্রকৃত মানুষ। আর যারা কুরআনের বিধান তথা শরীয়তকে মানে না তারা প্রকৃত মানুষ নয়। তারা শান্ত সমাজকে অশান্ত করে, ফিৎনা-ফাসাদ, ঘুষ, আত্মসাৎ, ছিনতাই, চুরি, অত্যাচার দ্বারা মানুষকে বিভিন্ন প্রকারে কষ্ট দিতে থাকে। যা অবৈধ ও হারাম।
আল্লাহপাক তাঁর পবিত্র কালামে ইরশাদ করেন, তোমরা অন্যায়ভাবে একে অন্যের ধন সম্পদ আত্মসাত করোনা এবং অপরের ধনসম্পদ গ্রাস করার উদ্দেশ্যে তা শাসকদের নিকট পৌঁছাইওনা আর তা তোমরা খুব ভালভাবেই জান। (সূরা বাকারা-১৮৮)
আল্লামা সানাউল্লাহ পানিপতি (রহ.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন "এবং তোমরা অন্যায়ভাবে একে অন্যের অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করোনা অর্থাৎ যেমন কারও সম্পদের উপর মিথ্যা দাবী করা অথবা মিথ্যা স্ব্যা দেওয়া, কারো সত্য দাবীকে অস্বীকার করে তার উপর মিথ্যা শপথ করা অথবা কারো প্রাপ্য অধিকার (ঘুষ গ্রহণ করে) অন্যকে দিয়ে দেওয়া। দূর্নীতি করা, লণ্ঠন করা, চুরি করা, খেয়ানত করা, জুয়ার মাধ্যমে অর্থ সম্পদ রোজগার করা, গান বাজনার বিনিময় গ্রহণ করা। গনকের রোজগার, ঘুষ প্রভৃতি পন্থাকেই কুরআনে বাতিল পন্থা বলে আখ্যায়িত করেছে।

ঘুষ:
কোন বিচারক কিংবা দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে নিজের পে বিচার করার জন্য কিংবা উদ্দেশ্য সাধনের ব্যাপারে নিজেকে অন্যায়ভাবে সহযোগিতা করার জন্য যে মাল-সম্পদ কিংবা সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়, শরীয়তের পরিভাষায় তাকেই রিশওয়াত বা ঘুষ বলা হয়।
ঘুষ সকল দূর্নীতির মূল। তাই হাদীসে বর্ণিত আছে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) মুকাদ্দমায় ঘুষগ্রহীতা ও ঘুষদাতা উভয়ের প্রতি অভিশম্পাত করেছেন। (তিরমিযী ১৩৪১ নং হাদীস) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ যা ঘুষদাতা ও গ্রহীতার প্রতি অভিসম্পাত করেছেন। (তিরমিযী ১৩৪২নং হাদীস) আহমদ এবং বায়হাকী (রহ.) শোয়াবুল ঈমানে সাওবান হতে বর্ণনা করেছেন। তাতে অতিরিক্ত আছে ঘুষদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারীর উপর ও অভিসম্পাত করেছেন। (মিশকাত শরীফ) রাসূল সা. আরো ইরশাদ করেছেন ঘুষ গ্রহণকারী ও ঘুষদাতা উভয়েই দোজখে প্রবেশ করবে। (তাফসীরে নূরুল কুরআন) হযরত আবু উমামা রা. হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোন শাসক বা বিচারকের নিকট সুপারিশ নিয়ে যায় পরে তার নিকট হাদিয়া বা উপঢৌকন প্রেরণ করে। আর শাসক বা বিচারক সে হাদিয়া গ্রহণ করে তবে সে সুদের দরজাগুলোর মধ্যে একটি বড় দরজায় প্রবেশ করে। (আবু দাউদ)
আমাদের সমাজে ঘুষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অথচ যে সমাজে তা চালু হয়, সে সমাজে প্রশাসনের মেরুদন্ড ভেঙ্গেঁ পড়ে, ন্যায় অন্যায়ের কোন পার্থক্য থাকেনা, নিয়ম-নীতির কোন বালাই থাকেনা। দুর্নীতি হুঁ হুঁ করে বাড়তে থাকে, মানুষের জান মালের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। অন্যায় ও জুলুমের প্রতিকার করার প্রবণতা সেই সমাজ থেকে ক্রমান্নয়ে লোভ পায়। অপরাধী বুক ফুলিয়ে চলে, আর নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষ চরম অসহায়ত্বের মাঝে ধুকে ধুকে মৃত্যুর প্রহর গুণে। নির্যাতিত মানুষ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে ইনসাফ পাওয়ার কোন নিশ্চয়তা বোধ করেনা। এ কারণেই ইসলাম এমন জঘন্য পন্থায় মাল উপার্জনকে নিষিদ্ধ ও হারাম ঘোষণা করেছে। যাতে অন্যায় ও অবিচার থেকে জাতি রা পেতে পারে এবং ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক শান্তির সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
রাষ্ট্রীয় কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য ইসলাম শুধুমাত্র ঘুষ নিষিদ্ধ করেছে তাই নয়। বরং পদের প্রভাব খাটিয়ে কোন কর্মচারী বা কর্মকর্তা কিছু উপার্জন করলে কিংবা কোন কর্মকর্তার পদের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে তার আত্মীয়-স্বজনরা কোন অর্থনৈতিক কিংবা অন্য কোন সুযোগ সুবিধা আদায় করলে সেটাকেও নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। কেননা এ ধরণের পথ খোলা থাকলে এটা সুষ্টু ও ন্যায়ানুগ কার্যক্রম পরিচালনার েেত্র মানসিকভাবে বাধা সৃষ্টি করে।
হযরত উমর রা. যখন কাউকে কর্মকর্তা নিয়োগ করতেন। তখন তার ব্যক্তিগত মালামালের পরিমাণ হিসাব করে রাখতেন। যাতে কর্মকর্তারা তাদের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ উপার্জন করতে না পারে। (আল ইকতিসাদুল ইসলামী)

আত্মসাত:
আত্মসাত করা মহাপাপ। হযরত মুয়ায রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন, নবী করীম (সা.) আমাকে ইয়ামান প্রদেশের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে পাঠালেন। আমি রওয়ানা হয়ে যাবার পরে তিনি আমাকে ডেকে আনার জন্য আমার পেছনে এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে দিলেন। আমি তাঁর নিকট ফিরে এলে তিনি বললেন, আমি তোমাকে কি জন্য আবার ডেকে আনলাম তা বলতে পার কি? আমি তোমাকে এ কথা বলার জন্য ডেকে এনেছি যে, আমার অনুমতি ব্যতীত কোন সম্পদই ভোগ করবে না। কেননা তা খিয়ানাত বা আত্মসাৎ ব্যতীত কিছু নয়। আর যে ব্যক্তি যে বস্তু আত্মসাৎ করবে কিয়ামত দিবসে সে সে বস্তু কাঁধে বহন করেই হাশরের মাঠে উপস্থিত হবে। একথা বলার জন্যই আমি তোমাকে ডেকে এনেছি। এখন তুমি তোমার কার্যস্থলে চলে যাও। (তিরমিযী, মিশকাত শরীফ ৩৫৭৯নং হাদীস)
হযরত খাওলাতুন আনসারিয়া (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, কিছু লোক আল্লাহর সম্পদে তথা বাইতুলমালের সম্পদ বা গনিমতের মালে অন্যায়ভাবে ব্যয় করে থাকে। এ শ্রেণীর লোকদের জন্য কিয়ামত দিবসে নির্ধারিত রয়েছে দোযখের শাস্তি। (বুখারী) হযরত বুরাইদা রা. হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, যে লোককে আমরা কোন কাজে নিযুক্ত করি এবং তাকে সে কাজের বিনিময়ে মজুরী প্রদান করি, যদি সে তারপর ঐ মজুরীর অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করে, তবে তা হবে খিয়ানত স্বরূপ বা আত্মসাত। (আবু দাউদ) সুতরাং, আমরা সর্বপ্রকার খিয়ানত, ঘুষ ও আত্মসাত থেকে বিরত থাকি। সর্বপ্রকার দুর্নীতি থেকে জাতিকে রা করি।

লেখক: গ্রন্থকার
জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজিরবাজার, সিলেট


খৃষ্টীয় নববর্ষ উদযাপন: শরিয়ত কি বলে

Posted Posted by আরিফ in Comments 0 comments

মূল:
ড. আহমদ বিন আব্দুররহমান আল কাজী   
অনুবাদ :আলী হাসান তৈয়ব
উৎসব পালন  জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে একটি সামগ্রিক ফিনমিনন সুনির্দিষ্ট কোনো দিবসকে স্মরণীয় করে রাখার গভীর বাসনা থেকে, অথবা আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ, কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করা ইত্যাদি থেকে জন্ম নেয় বর্ষান্তরে উৎসব পালনের ঘটনা
আল্লাহ তাআলা মানুষের স্বভাবজাত বাসনা সম্পর্কে সুপরিজ্ঞাত তাই তিনি তা প্রকাশের মার্জিত সম্মানজনক পদ্ধতি বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন সৃষ্টিসংলগ্ন সামগ্রিক প্রজ্ঞাময়তা, পৃথিবীবক্ষে মানবপ্রজন্মের দায়দায়িত্ব, আল্লাহর ইবাদত দাসত্বের জিম্মাদারি ইত্যাদি বিবেচনায় রেখেই তিনি দিয়েছেন উৎসব পালনে সম্মানজনক বিধান আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম-মৃত্যুর তারিখ সম্পর্কে আলেমদের বিভিন্ন বক্তব্য ও বিশুদ্ধ অভিমত

Posted Posted by আরিফ in Comments 0 comments





 মূল : শাখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
অনুবাদ : সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া 
প্রশ্ন :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ কোনটি, এ বিষয়ে অনেকগুলো অভিমত আমার সংগ্রহে রয়েছে, বিশুদ্ধ অভিমত কোনটি, কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে জানতে চাই ?

উত্তর : আল-হামদুলিল্লাহ
প্রথমত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের নির্দিষ্ট দিন ও মাস সম্পর্কে ঐতিহাসিকগণ বিভিন্ন মত পেশ করেছেন। এর পশ্চাতে যৌক্তিক কারণও রয়েছে, যেহেতু কারোই জানা ছিল না এ নবজাতকের ভবিষ্যৎ কেমন হবে ? তাই সবার নিকট অন্যান্য জন্মের ন্যায় তার জন্ম স্বাভাবিক ও অগুরুত্বপূর্ণ ছিল, এ জন্য কারো পক্ষেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম তারিখ নির্দিষ্ট ও চূড়ান্তভাবে জানা সম্ভব হয়নি


প্রসঙ্গ :যৌন নির্যাতন

Posted Posted by আরিফ in , , Comments 0 comments

                                                               আব্দুস্ সালাম সুনামগঞ্জী
 বর্তমানে বাংলাদেশে ইভটিজিং একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ পত্রিকার দিকে দৃষ্টি দিলেই বাংলাদেশের কোন না কোন এলাকায় ইভটিজিং এর খবর পাওয়া যায়৷ এটা প্রতিরোধ করতে হলে কয়েক শ্রেণীর লোককে নিজেদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে  পালন করতে হবে৷ যেমন: মাতা - পিতা বা অভিভাবকের দায়িত্ব, নারীদের দায়িত্ব, সরকারের দায়িত্ব৷ কার কি দায়িত্ব তা নিন্মে পেশ করা হচ্ছে-
মাতা-পিতা বা অভিবাকের দায়িত্ব :- ছেলে মেয়ে লেখা পড়ার উপযুক্ত হলে তাদের কে ইসলামী আদর্শ শিক্ষা দেওয়া পিতা মাতার দায়িত্ব৷ কমপ েকালেমা, নামায, রোজা, পর্দা-পুশিদা, হালাল-হারাম, জায়েজ-নাজায়েজ ইত্যাদি৷ একজন মুসলমানের জন্য যা জানা আবশ্যকীয় তা শিা দেওয়া ও আবশ্যকীয়৷ নতুবা কাল কি্বয়ামতে জবাবদিহি করতে হবে৷
* মেয়েরা যখন ৯/১০ বত্‍সরে উপনীত হয় তখন থেকেই তাদের কে এমন পোষাক পরাতে হবে যাতে সমসত্ম অঙ্গ ঢেকে থাকে৷ যেমন- সেলোয়ার, ফুলহাতা কামিজ ও ওড়না৷ যখন বারো বত্‍সরে উপনীত হয় তখন তাদের কে আবশ্যকী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ীর বাইরে যেতে না দেওয়া৷ হ্যা, যদি একানত্ম যেতেই হয় তাহলে বোরকা পরে বের হওয়ার শিা দেওয়া৷ কেননা, মেয়েদেরকে পর্দায় রাখা পিতা মাতার কর্তব্য এবং পিতামাতাকেই খেয়াল রাখতে হয় যেন তাদের সনত্মান কোন পর পুরম্নষের সাথে কথাবর্তা বলার সুযোগ না পায়৷ 
বর্তমানে মাতা পিতা বা অভিভাবকদের অলসতা দ্বারাই ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে মেয়েরা ৷ কেননা, তাদের কে শরয়ী পর্দা শরয়ী লেবাসে গড়া হয়নি৷ ফলে তারা এমন পোষাক পরিধান করে চলাফেরা করে যে, তাদের অনেক অঙ্গই খোলা থাকে৷ কামিজের হাত উঠাতে উঠাতে বগল পর্যনত্ম পেঁৗছে গেছে, মাথাও থাকে খোলা৷ অনেকে এমন পাতলা

গান বাজনা ও অপসংস্কৃতি প্রসংগে

Posted Posted by আরিফ in Comments 0 comments

                                                           মাওলানা আব্দুস সালাম সুনামগন্জী
এ যুগে চিত্ত বিনোদনের নামে গান-বাজনা অহরহ চলছে। জাতীয় প্রচারমাধ্যমে প্রত্যহ গান বাজনা হচ্ছে। সংস্কৃতির নামে এ অপসংস্কৃতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল এ বাংলাদেশে চিত্তবিনোদনের প্রধান উপায় হিসাবে অবলম্বন করা হয়েছে গান-বাজনাকে। এ দেশে শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমান থাকা সত্ত্বেও আমরা কি একবার চিন্ত্মা করে দেখেছি যে, চিত্তবিনোদনের নামে গান-বাজনা কি ইসলামের বিধান সম্মত? গান বাজনা সংস্কৃতি নাকি অপসংস্কৃতি আমরা কি তা চিন্ত্মা ভাবনা করছি। ইসলাম ধর্মে নাটক, সিনেমা, দেহপসারিণীদের খেল তামাশা থিয়েটার, সার্কাস, ভেল্কিবাজি ও সর্বপ্রকার নাচ,গান-বাজনা হারাম। ইসলামী রাষ্ট্রনায়কের কর্তব্য হচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি বন্ধ করে দেয়ার জন্য সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহন করা। কারণ এসবের মাধ্যমে অনৈতিকথার বিস্ত্মার ঘটে। নিন্দিত পুঁজিবাদ ও মাথাচাড়া দেয়। সর্ব সাধারণের জন্য অভাব ও দারিদ্রের দুয়ার উন্মুক্ত হয়ে যায়। সরকারের পথেকে যদি এসব অপসংস্কৃতি বন্ধের দ্রম্নত উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে জনসাধারণের জীবনোপায় সংগ্রহের দুয়ার বন্ধ হয়ে যাবে। এবং দেশে অভাব ও দারিদ্রের সেই ব্যাধি ছড়িয়ে পড়বে। যার ফলে মানুষের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে এবং জাতীয় জীবনে ব্যাপক ভাবে সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়বে। যার বাস্ত্মব রূপ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ইসলামী শাসকবর্গের পে বিশেষ ভাবে এবং সাধারণ মুসলমানদের পে সাধারণভাবে এসব বন্ধ করার চেষ্টা চালানো জরম্নরী। গান-বাজনা ইত্যাদি হারাম হওয়ার ব্যাপারে সংপ্তি কয়েকটি দলীল উল্যেখ করা হচ্ছে।